রেলওয়ে কর্মচারী (পিতা) আজীবন পেনশন মায়ের নামে নেয়ার জন্য কোথায় কত টাকা ঘুষ দিয়েছি।

কমলাপুর রেলওয়ে কমান্ডেন্ট অফিসে গিয়ে পিতার মৃত্যুর সংবাদ (যত দ্রুত সম্ভব জানাবেন যত দেরি করবেন তত ঝামেলা হবে।) দিলে তারা সমবেদনা জানিয়ে একটি লিস্ট দেন। লিস্ট অনু্যায়ী পেপার্স আনার পর কাজ শুরু হয়। প্রয়োজনে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।


১. হাসপাতাল / ডাক্তার কর্তৃক মৃত্যু সনদে রেলওয়ে ডাক্তার দিয়ে প্রতি স্বাক্ষর বাবদ ৫০০/-

পিতা বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করায় এলাকার সরকারি হাসপাতাল মৃত্যু সনদ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেন। পরে জানা গেল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি অসুস্থ হলে বা মারা যাবার মত হলে হাসপাতালে নিতে হবে, সেক্ষেত্রে সেখানে মারা গেলে মৃত্যু সনদ দেয়া হবে। যদি বাড়িতে হঠাৎ মারা যায় সেক্ষেত্রে সর্বশেষ যে ডাক্তারের (অবশ্যই রেজিস্ট্রার্ড হতে হবে) কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছিল তার কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। সনদ প্রদানে অপারগতা প্রকাশে বিকল্প হিসেবে ”প্রত্যয়ন পত্র” নিতে পারেন সেক্ষেত্রে প্রত্যয়নকারীর রেজিস্ট্রার্ড নাম্বার এবং বিজনেস কার্ড সংযুক্ত করে দিবেন। মৃত্যুর সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ/সিটি কর্পোরেশন থেকে মৃত্যু নিবন্ধন করে নিবেন।


২. ওয়েলফেয়ার ইন্সপেক্টর এর রিপোর্ট বাবদ ৫,০০০/-

ওয়েলফেরার ইন্সপেক্টরের অনেক কাজ তিনি অনেক ব্যাস্ত থাকেন। তার কাজ হল আবেদনকারীর সকল তথ্য সারজমিনে যাচাই করা। এখন কি একজনের পক্ষে ফিল্ড ভিজিট করে রিপোর্ট করা সম্ভব? তাই তিনি অফিসে বসেই বিভিন্ন জায়গায় কল দিয়ে কাজটা করে ফেলেন। আর সারজমিনে যাচাই করতে যে সময় ও খরচ লাগে তা তিনি কোথায় পাবেন? যদি সারজমিনে যাচাই করা লাগে সেক্ষেত্রে আবেদনকারী তারা খরচ বহন করবে, সেই খরচটাই তাকে হাতে দিতে হবে। না দিলে উনি যখন সময় পাবেন তখন যাবেন কারণ তার মেলা কাজ। তবে টাকা দিলে সময় লাগবে না।

উক্ত কাগজপত্র হয়ে গেলে কমান্ডেন্ট অফিস আবেদনকারীর স্বাক্ষর, টিপসই সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি করে আপনার মাধ্যমে বা তাদের রেগুলার মেইলেই মাধ্যমে কাগজপত্র সব চট্রগ্রাম অফিসে পাঠিয়ে দিবেন। সেখানে তিন/চারবার শুনানি এবং বিভিন্ন প্রসেস সঙ্গে যাওয়া আসা, থাকা ও খাওয়া বাবদ আপনার নিম্নক্ত বা তার চেয়ে বেশি খরচ হতে পারে।

৩. অনেকবার অফিসে যাতায়াতে আমার এক পরিচিতকে পেয়েছিলাম তার মাধ্যমে ১৫,০০০/- একজনকে দিলাম আমার যাওয়া আসা থাকা খাওয়া আর হাজিরা কিছুই দিতে হয় নি। একটা প্রাইভেট কোম্পনির সাধারণ কেরাণীর চাকুরী করে এত ছুটি পাওয়া আমার জন্য কষ্টকর ছিলো। সে যাই হোক আমাকে তারা এক মাসের গ্যারান্টি দিয়েছিল তবে তারা প্রায় ৩৫ দিনের মাথায় আমার সকল ডকুমেন্ট বুঝিয়ে দিয়েছিল এবং অতিরিক্ত কিছু চেয়েছিল আমি ৩০০/- দিয়েছিলাম। খুব খুশি মনে নিয়েছিল তারা আরো দু’জন ছিল, দলনেতা তাদের টাকা দিয়ে বললো খুশি নাকি আরো লাগবে। তারা জানালো আরে যা দিয়েছে তাই তো বেশি।। কাজ পাইলেই হল..

উপরোক্ত ঘটনাগুলো আমার সাথে হয়েছে। অন্য কারো সাথে তা নাও মিলতে পারে। কোন সহযোগীতা প্রয়োজন মনে হলে কমেন্ট করতে পারেন। আর উক্ত কাজ গুলো আপনার সময় থাকলে নিজে নিজে করবেন এবং না পারলে অফিসের কারো সহযোগিতা নিবেন। বাহিরের কারো সহযোগীতা নেয়া বিপদজনক।।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Welcome...
Have you faced any kind of problem, just comment.

কোন সমস্যা মনে হলে ইমেইল এড্রেস সহ কমেন্ট করুন, আপনার ইমেইল এড্রেস এবং সমস্যার গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে।