অর্থ হল একটি দেশের প্রাণ শক্তি রক্তের মত। অর্থাৎ মানব শরীরে রক্তের যেমন প্রয়োজন তেমনি একটি দেশে অর্থের তেমন প্রয়োজন।
ব্লাড ক্যান্সারের নাম শুনেছেন অনেকেই এমন আরো কিছু রোগে রোগির শরীর থেকে রক্ত কমে যায় এবং তাকে বাহির থেকে রক্ত দিতে হয়। রক্তদাতা না থাকলে রোগি রক্তশূন্যতায় মারা যান।
অর্থ একদেশ থেকে অন্য দেশে যায় তার বিনিময়ে আসে সেবা বা পণ্য। কিন্তু যদি এমন হয় কোন কারণ ছাড়াই অর্থ অন্য দেশে চলে গেল তাহলে প্রথম দেশ থেকে অর্থ দ্বিতিয় দেশে পাচার হল। পাচার হবার অনেক পথ আছে যেমন কম দামী পণ্য বেশি দাম দেখিয়ে টাকা পাচার করা হয় এবং অতিরিক্ত মূল্য সে দেশের কোন ব্যাংকে জমা করা হয়। আবার রপ্তানি ক্ষেত্রে বেশি দামি পণ্যকে কম দাম দেখিয়ে রপ্তানি করা হয় যা আমদানি কারক দেশ উক্ত রপ্তানিকারক দেশের দূর্নিতিগ্রস্থ লোকটার একাউন্টে জমা করে দেয়, এভাবে দেশে অর্থ আসে না আবার অর্থ চলে যায়। তাহলে ঘাটতি রিকভার হয় কিভাবে?
পাচার হলে কেমন ক্ষতি হয় বুঝতে পারছেন, যেহেতু অর্থ চলে যাচ্ছে তাহলে এ ঘাটতি রিকভার হয় কিভাবে?
১. বিদেশী রেমিটেন্স এ পাচারকৃত অর্থে ঘাটতির বড় অংশ পূরণ করে
২. বিদেশী ঋণ,
৩. বিদেশী বিনিয়োগ,
৪. দান এবং অনুদান,
৫. বিদেশী সাহায্য ইত্যাদি
খুব সহজভাবে আপনাদের বোঝাতে পারলেও যারা অর্থনীতিতে আছেন তারা তা বুঝতে চান না, কারণ কি তা বুঝতে হলে বিষয়টা আরেকটু পরিষ্কার করতে হবে। যেমন পাচারকৃত অর্থ পাচারকারী ভোগ করে কিভাবে? এই পাচারকৃত অর্থ অনেকই ভোগ করতে পারে না এবং ভোগ করলেও খুব সামান্য ভোগ করতে পারে। যেমন আলিবাবা-চল্লিশ চোরের কাহিনি শুনেছেন নিশ্চই তারা যে পরিমাণ সম্পদ লুট করেছিল তার কতটুকু ভোগ করতে পেরেছিল..
এই আলিবাবা-চল্লিশচোরের মত এইসব পাচারকারীদের অবস্থা হয় তারা সেদেশে গিয়ে এ অর্থ ভোগ করতে পারে। যদি অনেক পাচার করে তবে বাকিটা জীবন বসে বসে খেতে পারে। আর হিসেব টাকা হলে সেখানে কিছু একটা করে বাকি জীবন পার করতে হয়। তবে দেশ ছাড়ার আগে দেশে অর্থ পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত হলে এবং ধরা পড়লে তার টাকা বিদেশে পড়ে থাকবে সে দেশের সরকার তার টাকা ব্যবহার করবে এবং সুমতি হলে পাচারকারীর দেশের সরকারের হাতে ফেরৎ দিবে (যেটা সাধারণত হয় না)।
তো পাচারকারি এবং সরকারী উর্ধতন কর্মকর্তা একই ধরণের লোক হলে নিচের সংবাদের মত হয় দেখুন এসব সংবাদ






