হামিদ ব্যাপারি, হোটেল ব্যবসায়ি। কুরবানি এলে দুপুর থেকেই হোটেলের একটি শাটার খোলা রাখেন। ফ্রীজে সবজি রাখেন না, যথেষ্ট পরিমান খালি রাখেন সবগুলো ফ্রীজ। একটু পরপর ভিক্ষুক আসে ব্যাগ নিয়ে তিনি মাংস দেখে ওজন অনুযায়ী দাম দিয়ে দেন। আরো কিছু হোটেল আছে যেখানে ভিক্ষুকরা তাদের সংগ্রহ করা মাংস বিক্রয় করতে আসেন। তবে হামিদ ব্যাপরির দোকানে ভিক্ষুকদের ভির বেশি। তারা এখানে ভালো দাম পায়। তবে হামিদ ব্যাপারি সবাইকে খুশি করতে পারেন না। কিছু কিছু ভিক্ষুকের মাংসের দাম খুবই কম দেন। এত ভিক্ষুকরা হামিদ ব্যাপারির উপর রাগ করেন না। এবং হামিদ ব্যাপারিও একটু হতাশ হয়ে তাদের মূল্য পরিশোধ করেন। হামিদ ব্যাপারির এটা মাংস সংগ্রহের ব্যাবসা। এটা দিয়ে তিনি ইদের পরে বেশ কিছুদিন দোকানের মাংষের চাহিদা মেটাতে পারবেন। ভিক্ষুকদের দাম কম দিয়ে তিনি আপসোস করেন কারণ তিনি তাদের ঠকান না। তাদের মাংষে হাড় এবং চর্বি বেশি থাকে খুব কম ভিক্ষুকদের কাছে ভালো মানের মাংষ পাওয়া যায়। যে হাড় ফেলে দেবার কথা তা এদের দেয়া হয় কিন্তু হামিদ ব্যাপরিতো আর এগুলো কিনতে পারেন না আবার ভিক্ষুকদের ফিরিয়ে দিতে পারেন না, তাই কিছু টাকা দিয়ে রেখে দেন। কিছু কিছু মাংসে ময়লা থাকে, চোখ সাধারণত ফেলে দেয়া হয় মাংষে চোখও পানি তিন। গরিবদের এভাবে ঠকানো তার পছন্দ না তাই কোন লাভ ছাড়া মাংস সংগ্রহ করেন প্রতি কুরবানির ইদে।