বাইসাইকেলে মোটর বসিয়ে মোটর-সাইকেল গ্রুপে এ্যাড হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বেরসিক এ্যাডমিন জানায় অরিজিনাল মোটর-সাইকেল না থাকলে মেম্বার হওয়া যাবে না। কি আর করা BDCyclists এ রয়ে গেলাম, আরোও কিছু সাইকেল গ্রুপে এ্যাড হলাম। মোটর-সাইকেলের প্রতি আমার আগ্রহ যে ছিলো না তা নয়। ছোট বেলায় মোটর-সাইকেলে ওঠার অনেক ইচ্ছা ছিল এবং একদিন তা পূরণও হল। মোটর-সাইকেলের সামনে বসে কোন এক চরাঞ্চলে গিয়েছিলাম বিয়ের অনুষ্ঠানে। বাতাস আর ধূলায় আমার মোটর-সাইকেলে ওঠার শখ সেদিনই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপর যতবারই মোটরসাইকেলের পিছনে উঠেছি ততবারই চালকের অদক্ষতার কারণে যাত্রা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আতঙ্কে থেকেছি। ঢাকায় এসে পাঠাও চালু হবার পর অনেকবার পাঠাও রাইডারদের সাথে রাইড শেয়ার করা হয়েছিল। তবে এই পর্যন্ত মাত্র একজনকেই পেয়েছিলাম যিনি গিয়ার শিফট করে এক্সেলেটরে টান দিলেও হুটহাট করে টান দেননি। কোন প্রকার আতঙ্ক সেদিন কাজ করেনি। তিনি সিগনাল, উচুনিচু পথ খুব দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করে আমাকে গন্তব্যে পৌছে দিয়েছিলেন। আমি আমার অভিজ্ঞতা বলতেই তিনি খুব খুশি হলেন এবং আমাকে রেটিং দেয়ার অনুরোধ করে বিদায় নিলেন। এমন রাইড আমি আর পাইনি।
মোটর-সাইকেল এখন পর্যন্ত দূর্ঘটনার শীর্ষে একমাত্র যান। যার কারনে আমি মোটর-সাইকেল তেমন একটা পছন্দ করি না। সাইকেলে যে দূর্ঘটনা হয় না তা নয়, এইতো সর্বশেষ যেবার এক্সিডেন্ট হল, ব্রিজ থেকে নামছিলাম ক্রমে স্পিড বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এমতাবস্থায় একটি বাস আমাকে অভারটেক করে, বুঝতে পারি সে বামে চাপাচ্ছে, আমার স্পিড সর্বোচ্চ তাই স্পিড কমাচ্ছিলাম। সামনের ব্রেক শক্ত করে ধরলে উল্টে যাব, তাই পিছনেরটা চেপে স্পিড কমাচ্ছি, কিন্তু বাসটি এত দ্রুত বামে চেপে গেল যে সাইকেলের হাতলে লেগে গেল এবং ব্রিজের ফুটপাতে সাইকেল চাপা পড়ে উল্টে গেল। আমি কয়েক মুহূর্তের পর নিজেকে সাইকেলের আগে আবিষ্কার করলাম। ততক্ষনে বাস চলে গিয়েছে, ড্রাইভার হয়তো জানেই না যে এমন একট কাজ হয়েছে। আমার পিছনে কিছু যানবাহন ছিল তারা আমার সাইকেল উঠিয়ে চাপালো আমি উঠে সাইকেল নিলাম। সাথে পানি ছিল হালকা খেয়ে কিছুটা হেটে বাসায় চলে আসি। পরে বুঝতে পারি বাম হাতের মধ্যমা এবং অনামিকায় চোট লেগেছে। আরোও কিছু জায়গায় ব্যাথা পেয়েছিলাম। তো যাই হোক এক্সিডেন্ট তো হবেই তবে সাবধানে থাকতে হবে।