নামাজ আদায় করাটা যুদ্ধে জয়ী হবার মত। বহুগুনে শক্তিশালী শয়তানের প্ররোচনার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া খুব কঠিন কাজ। তখন জানতাম না, এখনো জানিনা শয়তান কতটা শক্তিশালী এবং আমার কতটা শক্তি আছে। প্রাইমারি স্কুলে থাকা কালিন মাঝে মাঝে মসজিদে যাওয়া আসা হত একদম নিয়মিত না। হাইস্কুলে থাকা কলিন সময়েও পরিবারের চাপে মসজিদে গেলেও চাপ কমে গেলে যাওয়া হত না। স্কুল শেষ হতে না হতেই ৪০ দিনের ধর্মিয় ভ্রমণে বের হতে হল পরিবারের চাপে, যাব না তবুও যেতে হল। ভ্রমণ শেষে নিয়মিত নামাজ আদায় করতে পারলেও প্রায়শই ফজরের নামাজ সময়মত আদায় করা হত না। সকালে ঘুম থেকে উঠে পরে আদায় করে নিতাম। এভাবে বেশি দিন চললো না। বাবা-মায়ের মুখে প্রায় প্রতিদিন শুনতে হত “ফজরের নামাজ সময়মত না আদায় করলে অন্য নামাজ আদায় করে কোন লাভ নাই”। বাক্যটা ততটা গ্রহ্য করতাম না, কারণ জানতাম তারা ভুল বলছে। কিন্তু প্রতিদিন এবং কথায় কথায় উক্ত বাক্যটি শেলের মত আগাত হানতো। কোন দিন দুপুরের নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিলাম যাওয়ার আগে উক্ত বাক্যটি আবার শুনলাম এবং তাদের জানালাম “ফজরের নামাজ আদায় না করে অন্য নামাজ আদায় করে যেহেতু কোন লাভ নাই তাহলে আজ থেকে নামাজ আদায় বন্ধ” তারা বললো, “তোর ইচ্ছা”। সে থেকে অনেকদিন নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকি। অনেকদিন বলতে বহু বছর পার হয়ে যায়। এরই মধ্যে আমি নতুন করে তাদের না দেখিয়ে কিছু ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে লাগলাম, হ্যা ফজরের নামাজ আদায় করাটা আমার জন্য কেন যেন খুব কঠিন লাগতো। এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে নামাজ আদায় করাতে থাকা অবস্থায় আবার সে বাক্য!! এবার তারা আমার লুকিয়ে লুকিয়ে নামাজা আদায় করাটাও উক্ত বাক্যের সাথে যুক্ত করলেন। এখন আমার বয়স ৩০ চলছে এবং নামাজ আদায় করি না। নামাজ আদায় করতে কোন সময় মসজিদে গেলে শুধু উক্ত বাক্যটাই বার বার মনে আসে। এ থেকে রেহাই পাই না, জানিনা কবে এ থেকে মুক্তি পাব